পোস্টগুলি

2020 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শিরোনামহীন

  -বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে । ভিজবে ? -না ,,ঠান্ডা লাগবে, জ্বর আসবে - আচ্ছা তুমি থাকো আমি গেলাম - এই শোন শোন,,কোথাই যাচ্ছো? - ভিজতে - বুষ্টি তোমার ভালো লাগে? - সবসময় না ,,রাতের বুষ্টি ভালো লাগে । - কেনো ..রাতের বৃষ্টি কেনো,,দিনের বৃষ্টি না কেনো ? - কারন রাতে পৃথিবী ঘুমায়,,আর এ সময় আকাশ কাদলে কেউ দেখেনা,,যাদের আকশের মত দুখ তারা আকাশ এর দুখ ভাগ করে নিতে পারে । - তোমার কি মনে হয় যারা রাত জাগে তাদের অনেক দুখ? - হ্যা, - কেনো এমন মনে হয়? - যাদের মনে সুখ তারা ঘুমায়,,কারন ঘুম হলো এক প্রকার সুখ,,আর সুখ তো সুখের কাছেই যাবে,,তাইনা ,,এজন্য ঘুম দুখি মানুষের কাছে আসেনা তাই দুখিরা রাতে ঘুমাই না,,কারন ঘুম আসেনা । - হুম,,ভালো বলেছো । সারারাত জেগে থাকবে? -হ্যা,,সৃর্য আসলেই ঘুমিয়ে যাবো,,কারন ঘুম তখন আসবে,,ঘুম আলোকে ভয় পায় । -তোমার শরির খারাপ করেনা ? - হ্যা করতো,,এখন আর করেনা,,আর কতো করবে,,,সবকিছুর একটা শেষ আছে.. -হুম,,আচ্ছা তুমি এমন কেনো বলতো !!? নিজের লাইফ নিয়ে একটুও সচেতন না । - কি করবো বলো,,আমি যে এমনি,,আর লাইফ নিয়ে সিরিয়াস হয়ে কি হবে বলো,,কাল থেকে যদি আমি লাইফ নিয়ে সিরিয়াস হয়,,পরের দিন আমি এই পৃথিবীতে...

করোনার দিনগুলোতে ০১

২৪ এপ্রিল ২০২০ রাত ১২.৩০ প্লান অনুযায়ী আমার কিছুই হয়না। প্লান করি।এক,আর হয় আরেক। যাহোক কাল প্লান ছিল আজ সকাল ৭/৮ টার মোধ্যে ঘুম থেকে উঠবো। হলোনা। ঘুম থেকে ঊঠেছি সকাল ১০ টায়। হজরত এর ফোন পেয়ে। হযরত আমার বন্ধু। হাসিমপুর আমাদের জমির পাশে ওদের বাড়ি। আমার দাদা এত তার পোস্য পুত্র রশিদের কথা অনুযায়ী রশিদ কাকার বাড়ির পাশে জমি কিনেছিল। পুকুর সহ জমি। ৭ বিঘা মত হবে। জমি টা লিজ দিয়েছি আর পুকুর টা কড রেখেছি ৮০ হাজার টাকায়। আম্মুর চিকিৎসার জন্য মুলত নিয়েছিলাম। কিছু টাকা ধার দেনা শোধ করে বাকি ৫০ হাজার আম্মুর চিকিৎসায় দিয়েছিলাম। আম্মুর ৬ মাস কেমো শেষ। এখন মুখে ঔষধ চলছে। বাবার রেখে যাওয়া জমি থেকে ১ লাখ টাকা পেয়েছিল আম্মু।এই টাকা দিয়ে শেষে এসে কেমো শেষ করলো। যাহোক, আম্মুকে নিয়ে অন্য একদিন বলবো। ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে পুকুরে চলে গেলাম। কেজি ৪ ছোট বাটা আর কিছু তেলাপিয়া মাছ,সাথে রেজাউল ভাই কলা আর কলার মুচা দিয়ে দিল। চলে এলাম বাড়ি। প্রতিদিনের মত আজও সারাদিন কেটে গেলো। তবে আজ শরির টা ভাল লাগছে না। গলা ব্যাথা সকাল  থেকে। এখনো কমেনি। সাথে হালকা কাশিও আছে। কি আছে কপালে আল্লাহ জানে।  নিজেকে আলাদা করবো কিনা বু...

করোনার দিনগুলোতে ০৩

২৫ এপ্রিল রাত ৩.২৬ কাল রমজান মাসের প্রথম রোজা ছিল। ইচ্ছা ছিল প্রথম রোজা করবো। হলোনা । গলার ব্যাথা টা বেড়েছে। হালকা কাশি ও আছে সাথে। আজ সারাদিন একা একা আছি। সারাদিন মেয়েটাকে কোলেও নিতে পারিনি। নিজেকে কোরায়ান্টাইন করে রাখছি। বলাতো যাইনা। কি হচ্ছে শরিরে। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাজারে গিয়েছিলাম ঔষধ কিনতে। বাজার থেকে এসে ঘরে। আর বের হয়নি। সুহি ঘরে খাবার দিয়ে যাচ্ছে। একা একা খাচ্ছি। আমাদের একসাথে খাওয়ার অভ্যাস। একা একা খেতে খুব খারাপ লাগছে। সুহির মন টা ভাল না। চুপচাপ আছে দুদিন হলো। খুব কম কথা বলছে। কি যে হয়ছে বুঝতেছিনা। অনেক বার জিজ্ঞেস করেছি। বলেনা। ওর মন খারাপ সাধারণত বেশি সময় থাকেনা। এবার দেখছি সময় নিচ্ছে । হয়তো আমার জন্য টেনশন করছে। টেনশন হওয়াটা সাভাবিক। আমার জন্য না জানি বাড়ির সবার কিছু হয়ে যায়। মেয়েটার জন্য বেশি টেনশন। যাহোক ঔষধ খাচ্ছি। প্রেমাংশু আজ বলেই ফেললো,, টেষ্ট করাতে চাই নাকি। আমি বললাম আর একটা দিন দেখি। ওদিকে আম্মু কান্নাকাটি করছে। একা একা দুরে থাকে। টেনশন করছে। এমনিতেই তার টেনশন করতে করতেই জীবনটা শেষ হয়ে গেলো। সামী ছেলে মেয়ে কেউ তাকে সুখি করতে পারলোনা। জানি আল্লাহ মাফ করবেনা আমাকে...

করোনার দিনগুলোতে

রাত ২.৫৩  ২৩ এপ্রিল ২০২০  দুপুরে ঘুমালে রাতে আর ঘুম আসেনা। খুব বিরক্ত লাগে রাতে।  যদিও প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে রাত ২/২.৩০ বাজে। লাষ্ট কিছুদিন রাতে একটা করে মুভি দেখি।  মালায়লাম মুভি। ভাল ভাল কিছু মুভি দেখেছি। মেয়েটা ইদানীং রাত ৯.৩০/১০ টায় ঘুমিয়ে পড়ে।  আমরাও রাত ১২ টায় বেডে চলে আসি। সুহি প্রতিরাতে ১ টার মোধ্য ঘুমিয়ে পড়ে।  আজ ঘুমানোর চেষ্টা করছে কিন্তু ঘুমাতে পারছে না।  ছটফট করছে। আমি ওর ভয়ে গোপনে লিখছি। রাত জেগে ফোন টিপছি দেখলে রাগ করবে।  ছোট বেলায় আম্মুর শাসনের ভয় পেতাম, এখন বউ এর শাসনের ভয়। দুটো দুই রকম।  অবশ্য পরের টা বীর পুরষেরা পায়না দাবি করে। কিন্তু গোপনে বীর পুরুষও বউকে ভয় পায়।  কিসের ভয় পায় আসলে আমিও জানিনা।  কিন্তু ভয় পায়। ব্যাচেলর সময়ে মনে মনে ভাবতাম ইস একজন যদি শাসন করার মানুষ থাকতো, তবে ভাল হত।  এখন হয়ে গ্যাছে। কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে। আমি কি ছোট নাকি যে এত শাসন করতে হবে!!!!  যাহোক,,,সকালে উঠতে হবে। ছোট বোনের বাসায় কয়েকদি আগে দাওয়াত খাইতে গেছিলাম।  গরুর মাংস খেয়ে  লোভ লেগে গেছিল।  মনে মনে ঠিক করছিলাম হাতে টাকা পাইলে গরুর মাংস কিনবো। গোডাউন ভাড়ার ১০ হাজার টাকা পেয়েছি...